ফেসবুক এবং ফেসবুকের ইতিহাস: আপনি কি জানেন ফেসবুক কি (What is Facebook) এবং কখনো কি জানার চেষ্টা করেছেন ফেসবুকের ইতিহাস। বর্তমান সময়ে এইরকম অনলাইন ইউজার খুঁজে পাওয়া মুশকিল যারা ফেসবুকের নাম শুনেনি।
আমরা অনেকেই অনেক বছর ধরে ফেসবুক ব্যবহার করে আসছি কিন্তু নিজের আসেপাশে খবর নিয়ে দেখলে দেখতে পাবেন, অনেক এমন বন্ধু আছে যারা জানেনা ফেসবুক কি বা তারা কোনদিন ফেসবুক মেসেঞ্জার এর নাম প্রযন্ত শোনেনি।
তাই এই সব বন্ধুদের কাছে ফেসবুক কি এবং ফেসবুকের ইতিহাস এর প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ। যেন তারাও ফেসবুক মেসেঞ্জার কি এবং ফেসবুক কিভাবে চালায় এই বিষয় গুলো জানতে পারে এবং ফেসবুক আইডি সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে পারে।
তাই ফেসবুক একাউন্ট তৈরি এবং ফেসবুকের ইতিহাস জানার আগে ফেসবুক কিভাবে চালায়, তা জানা উচিৎ। ফেসবুক চালানো খুবই সহজ যে কেউ খুব সহজে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে।
একজন ফেসবুক ইউজার অন্য যে কোন ফেসবুক ইউজারস এর সঙ্গে যেকোনো সময় যুক্ত হয়ে মেসেজ, ভিডিও এবং ফোটো share করতে পারবেন। তবে এর জন্য এক user অন্য user কে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট সেন্ট করবে এবং অপর জন Friend request accept করবে।
ফেসবুক আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে কার friend request accept করব এবং কার রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করবো না। এমনকি যদি কেউ বিরক্ত করে তবে তাকে ব্লক ও করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক বিষয়বস্তু Facebook আমাদের ফ্রি দিয়ে থাকে।
তাই আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে ফেসবুক কি এবং ফেসবুক এর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করব।যেতে নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো ফেসবুক ইউজারসরা ও ফেসবুকের বিষয়ে নতুন কিছু শিখতে পারে।
ফেসবুক কি এবং ফেসবুকের বিস্তারিত ইতিহাস সম্পুর্ণ বাংলা ভাষায়
ফেসবুক শুরুর পর থেকেই, এর জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে এবং দিনের পর দিন আরও বেশি সংখ্যক লোক ফেসবুকে যোগদান করছে। এর কারণ হল ফেসবুক সর্বদা গোপনীয়তা এবং বিষয়বস্তু পরিচালনার মতো প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করে চলেছে, যাতে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ভাল হয় এবং ফেসবুক ব্যবহার করে আনন্দ পায়। এখন পর্যন্ত, প্রায় 2.7 বিলিয়নেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে এবং দিনের পর দিন ফেসবুক ইউজারস এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
So, আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে Facebook এর যে বিষয় গুলো জানতে পারবেন সেই বিষয় গুলো নিম্নে তুলে ধরা হল –
- ফেসবুক কি ( What is Facebook in Bengali),
- ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দ ও সেই শব্দের বিশ্লেষণ।
- ফেসবুকের ইতিহাস
ফেসবুক কি – What is Facebook in Bengali
ফেসবুক একটি জনপ্রিয় এবং ফ্রি সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট।Facebook তার ইউজারসদের প্রোফাইল তৈরি করতে, ফটো এবং ভিডিও আপলোড করতে, বার্তা প্রেরণ করতে এবং বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়। সাইটটি ব্যবহারের জন্য কোন টাকা দিতে হয় না, এবং বর্তমানে এটি প্রায় 111 টি বিভিন্ন ভাষায় ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ রয়েছে।
ফেসবুক ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অবস্থিত একটি আমেরিকান অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা। এই ওয়েবসাইটটি 4 ফেব্রুয়ারী 2004 এ চালু হয়েছিল। সেই সময়ে নাম দেওয়া হয়েছিল The Facebook এবং যখন এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, তখন পরবর্তীতে The Facebook নাম পরিবর্তন করে Facebook রাখা হয়।
কমপক্ষে 13 বছর বয়সী যে কেউ ফেসবুকে নিজের একাউন্ট তৈরি করে নিজের বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং অন্যান্য পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং কথা বলতে পারেন।
যদি আপনি এখনো নিজের ফেসবুক একাউন্ট খুলে থাকেন,তবে জেনেনিন কিভাবে ফেসবুক আইডি খুলতে হয়।
ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দ এবং সেই শব্দের বিশ্লেষণ।
আশাকরি আপনি বুঝতে পেরেছেন ফেসবুক কি। এখন আমরা ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দ এবং সেই শব্দের বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা করব।যদি আপনি ফেসবুকে নিউ ইউজারস হয়ে থাকেন, তবে এই words গুলো আপনাকে ফেসবুক চালাতে সাহায্য করবে।তবে দেখে নেওয়া যাক ফেসবুকে ব্যবহৃত শব্দ গুলো।
1. Facebook Group : ফেসবুকে ব্যবহৃত শব্দ গুলোর মধ্যে অন্যতম হল ফেসবুক গ্রুপ। আমি আপনাদের সহজ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করছি ফেসবুক গ্রুপ কি?
ফেসবুক গ্রুপ হল একেই বিষয়ে আগ্রহী লোকেদের একটি community. যেখানে একি বিষয়ে আগ্রহী লোকেরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা, পরামর্শ এবং নিজের মতামত প্রকাশ করে থাকে।
অনেকে Facebook group এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসায়ের প্রচার করে থাকে।এমনকি অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী গ্রুপের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অনলাইনে আয় করছে।
একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলার জন্য অবশ্যই আপনার ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে। যদি আপনি আপনার পছন্দের ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে চান বা গ্রুপের সম্মন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে চান তবে লিংক দেওয়া হল জানুন ফেসবুক গ্রুপ কি এবং কিভাবে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হয়।
2. Facebook Pages: Facebook pages, Facebook এর এমন একটি জায়গা যার মাধ্যমে বিভিন্ন Artists, businesses, brands, organisations এবং বিভিন্ন non-profit সংস্থা নিজের ফ্যান followers এবং customers এর সঙ্গে connect হয়ে থাকে।
বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোন বিষয় বা ব্যবসা কে সম্প্রসারণ (Promotion) করার জন্য ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়ে থাকে।
তাই ফেসবুক পেজ কে ফেসবুক ফ্যান পেজ ও বলা হয় অনেকে আবার Facebook business page ও বলে থাকে। যদি আপনি ফেসবুক পেজের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে চান তবে নিচে লিংক দিলাম। পড়ুন ফেসবুক পেজ কি এবং কিভাবে Facebook page create করতে হয়।
3. Facebook Market Place: ফেসবুক মার্কেটপ্লেস কি? যেখানে কোন জিনিস কেনা বেচা (buy and sell) হয় তাকে market এবং place বলতে বোঝায় জায়গা। অর্থাৎ Facebook market place হল বিভিন্ন ধরনের products কেনা বেচা (buy/sell) করার একটা মাধ্যম।
অসংখ্য ফেসবুক ইউজার Facebook marketplace এর মাধ্যমে বিভিন্ন products purchase করে।এর সাহায্যে তারা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী location, products category এবং price ইত্যাদি filters করে product search করতে পারবেন। এবং আপনি নিজের প্রডাক্টস Facebook market place এর অন্তর্ভুক্ত করে customers এর কাছে প্রডাক্টস বিক্রি করতে পারবেন।
4. Facebook Live: Facebook live, ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় পরিসেবা। এই পরিসেবার সাহায্যে আপনি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে live video streaming করতে পারবেন।
5. Add Friends/Friend Request : ফেসবুকে একাউন্ট খোলার পরের ধাপ হল friend request. যখন অন্য কোন ফেসবুক ইউজার কে আপনি নিজের বন্ধু বানাতে চাইবেন।এর জন্য আপনাকে তার কাছে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাতে হবে।সে রিকুয়েষ্ট accept করলেই আপনার বন্ধু হয়ে যাবে।
একইভাবে কোন ফেসবুক ইউজার আপনাকে friend request sent করলে যতক্ষণ আপনি রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করেননি ততক্ষণ পর্যন্ত সে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড হবে না।
ফেসবুকে আপনি কার সাথে বন্ধুত করবেন আর কার সাথে করবেন না, তা সম্পুর্ণ আপনার হাতে রয়েছে।
Event : Facebook event, ফেসবুকের একটি ক্যালেন্ডার ভিত্তিক ফ্রি পরিসেবা যার মাধ্যমে আপনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ফেসবুক ইউজারসদের কে আগে থেকেই অবহিত করতে পারবেন।
Facebook Event যে কেউ create করতে পারে এবং তার বন্ধু, Group members এবং ফেসবুক পেজের followers কে ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রন করতে পারে।
7. Facebook Like Button: সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুকের বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে অন্যতম হল Facebook like button. এই লাইক বাটনটির সাহায্যে আমরা আমাদের ফেসবুক বন্ধুদের upload করা photo, videos এবং status লাইক করতে পারবো।
8. Facebook Share Button: Facebook share button, Facebook like button এর মতোই। ফেসবুক শেয়ারিং এর মাধ্যমে ফেসবুকে আপনার পছন্দের photo, videos এবং স্টাটাস বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন। যখন আপনি কোন ফটো, ভিডিও share করবেন, তখন আপনার বন্ধুরা আপনার Timeline এই ভাগ করা Facebook photo, Facebook videos দেখতে পাবে।
9. Facebook Tags: অনেক সময় ফেসবুকে notification আসে আপনার অমুক ফ্রেন্ড আপনাকে tag করেছেন। আপনি কি জানেন Facebook tag কি।
যখন আমরা কোন বন্ধু কে ট্যাগ করি, তখন তাদের প্রোফাইলে একটি লিঙ্ক তৈরি হয়ে যায়।এবং আমরা যে পোস্টটি বন্ধুদের ট্যাগ করি সেই পোস্টটি সেই ব্যক্তির টাইমলাইনে হয়ে যায়।
10. Block and Unblock: ফেসবুকে অনেক লোক পেয়ে যাবেন, যারা সবসময় সবাই কে বিরক্ত করতে থাকে।যদি কেউ আপনাকে বিরক্ত করে এবং আপনি এদের থেকে মুক্তি পেতে চান,তবে আপনি তাদের ব্লক করে দিতে পারেন।
ব্লক করে দেওয়ার পরে সে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পাবে না এমনকি সে আপনার টাইমলাইনে post, comment, tag কিছুই করতে পারবেনা। অনেক সময় ভুল বশত আমরা আমাদের খুব কাছের বন্ধু কে ব্লক করে দিয়ে থাকি। তবে unblock অপশনের সাহায্যে ব্লক cancel করা যাবে।
যদি আপনি ফেসবুক ব্লক এবং আনব্লক এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তবে নিচে দেওয়া পোস্টটি পড়তে পারেন।
পড়ুন: কিভাবে ফেসবুকে ব্লক এবং আনব্লক করতে হয়।
11. Facebook Messenger: ফেসবুক মেসেঞ্জার কি? Facebook Messenger হল ফেসবুকের একটি ফ্রি Mobile messaging apps. এই অ্যাপটি instant massaging, photo, videos sharing, audio recordings এবং group chats এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও ফেসবুক ফ্রেন্ড এবং ফোন contact এ থাকা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন। Google play store থেকে app টি free doenload করে install করতে পারবেন।
12. Facebook Status: ফেসবুক স্ট্যাটাস ফেসবুকের একটি updates features যা ব্যবহার করে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা, অবস্থান এবং বন্ধুদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করে থাকি।
আসলে Facebook Status হল একটি short message, যেখানে কম লিখে বন্ধুদের সঙ্গে বেশি information দেওয়া যায়।
13. Facebook Story: Facebook story কে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটের জন্য দ্বিতীয় বার্তা হিসাবে মনে করা হয়।ফেসবুক স্টোরি হল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দ্বারা আপলোড করা সংক্ষিপ্ত ফটো এবং ভিডিও সংগ্রহ।
14. Facebook DP: সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে ডিপি (DP) এর মানে হল Display Pictures. DP বলতে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে যেমন – ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সাইটে একাউন্ট তৈরি করার সময় যে প্রোফাইল ফটো দিয়ে থাকি, তাকেই বোঝায়।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক ডিপি বলতে Facebook profile photo কে বোঝায়।
ফেসবুকের জনক ও ফেসবুকের ইতিহাস – Founder of Facebook and History of Facebook in Bengali
আমরা শুরুতেই জেনেছি ফেসবুক পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট।বর্তমানে ফেসবুকে 2.7 মিলিয়ন active users রয়েছে এবং প্রতি দিন এই সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।
ফেসবুকের জনক কে? Who is the father of Facebook?
ফেসবুকের জনক কে এর উত্তর অনেকেই জানে কিন্তু এখনও অনেক লোক আছে যারা জানেনা কে ফেসবুকের আবিষ্কার করেছিলেন। তারা জানতে চাই ফেসবুকের জনক কে?
ফেসবুকের জনক হল Mark Elliott Zuckerberg. Mark Zuckerberg Harvard University তে পড়া কালীন তার সহপাঠী Eduardo Saverin, Andrew McCollum, Dustin Moskovitz, and Chris Hughes মিলে ফেসবুক আবিস্কার করেছিলেন।
তবে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে Mark Zuckerberg কে মনে করা হয়। যদি কেউ জিজ্ঞেস করে ফেসবুকের জনক কে, তবে এর উত্তর হল মার্ক জুকারবার্গ।
ফেসবুকের ইতিহাস ( History of Facebook in Bengali)
এসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক 2004 সালের ফেব্রুয়ারী মাসের 4 তারিখে মার্ক জুকারবার্গ নামক Harvard University এর এক Computer engineers student ও তার চার সহপাঠী Eduardo Saverin, Andrew McCollum, Dustin Moskovitz, and Chris Hughes এদের হাত ধরে ফেসবুক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ফেসবুক চালু হয়েছে মাত্র 17 থেকে 18 বছর আগে। এটি এত অল্প সময়ে এত বেশি সাফল্য অর্জন করেছে যে এটি একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকের ইতিহাস নতুন হলেও, এর ইতিহাস খুব রোমাঞ্চকর।
আজকে আমরা ফেসবুকের ইতিহাস শুরু থেকে জানব। চল বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
Facebook আবিস্কারের 1 বছর আগে 2003 সালে মার্ক জুকারবার্গ Harvard University তে পড়াকালীন Facemash নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট তৈরি করেছিলেন। Facemash site টি তে visitors দের জন্য দুটো অপশন দেওয়া হয়েছিল ‘হট’ ও ‘নট’ নামে। অর্থাৎ এই সাইটে ভিজিটররা photo তে কেবলমাত্র ভালো এবং খারাপ বলে ভোট করতে পারতেন।
ফেসম্যাশ সাইটটি ইন্টারনেটে অনলাইনে আসার 4 ঘন্টার মধ্যে 450 টি ইউনিক ভিজিটর 22000 ফটো লাইক পেয়েছিল। এই থেকে বোঝা যায় ফেসম্যাশ এত কম সময়ে কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে Mark Zuckerberg কে এই ফেসম্যাশ ওয়েবসাইট টি বন্ধ করতে করতে হয়।কারন তিনি এই ওয়েবসাইট টি পরিচালনা করার জন্য ইউনিভার্সিটির server হ্যাক করে ব্যবহার করেছিলেন এবং University students এর তোপের মুখে পরে ওয়েবসাইট টি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
Facemash website টি বন্ধ হওয়ার পরে Mark Zuckerberg একটি নতুন ওয়েবসাইট খোলা সিদ্ধান্ত করে, যেখানে ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক students এর Online Directory তৈরি করার কথা ভেবে।
এই চিন্তা ভাবনা থেকেই প্রেথিবির সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট Facebook এর জন্ম হয়। কিন্তু শুরুতে এর নাম ছিল The Facebook.
এই ওয়েবসাইট টি চালু হওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যে প্রায় 1200 students যুক্ত হয় এবং এক বছরের মধ্যে প্রায় 1 মিলিয়ন ইউজারস যুক্ত হয়।
The Facebook websites টি এত কম সময়ে এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল যে এটি শুধু Harvard University এর মধ্যে সীমিত ছিলনা। Boston শহরের Ivy League এবং Stanford University পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছিল।
পরিশেষে, 2005 সালে এই সাইটটির নাম The Facebook এর পরিবর্তে “Facebook” রাখা হয়।
ফেসবুকের শুরু থেকেই কেবলমাত্র ইউনিভার্সিটির লোকেদের সদস্য দেওয়া হত কিন্ত 2006 সাল থেকে, 13+ বছর বয়সের সবাইকে ফেসবুকের সদস্যতা দেওয়া শুরু করে।
So, আজ এই পর্যন্তই থাক ফেসবুকের ইতিহাস বলতে গেলে আরও অনেক কিছু বলার আছে।তবে আজকে এখানেই শেষ করছি।
আশাকরি ফেসবুক কি এবং ফেসবুকের ইতিহাস পোস্টটি পড়ে আপনি ফেসবুকের সম্মন্ধে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যদি আপনার কাছে Facebook এর নতুন কোন information থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে social media sites বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।যাতে আপনার বন্ধুরা ও জানতে পারে ফেসবুকের ইতিহাস।
আরও পড়ুন :
2 thoughts on “ফেসবুক কি এবং ফেসবুকের ইতিহাস”